তাপস রায়: দীপাবলীর সন্ধ্যার আলো ফিকে হতে না হতেই যেন আলোয় ঝলমলিয়ে উঠলো বেহালা দৃষ্টিহীন শিল্প নিকেতনের অঙ্গনটি। এক মানবিক মুখের অতীত যেন উপস্থিত হল মরণোত্তর তার জন্মদিনের সন্ধ্যায়।
আজকের জনবহুল বেহালার সাথে দক্ষিণ ২৪ পরগনার যোগাযোগ সম্প্রসারণে উদ্যোগী পুরুষ প্রয়াত মানিকলাল চট্টোপাধ্যায় হলেন মানবিকতার সেই চেনা মুখ। যাঁর কথা লিখতে গিয়ে তাঁর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি তাঁর সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগের কথা বলতেই হয়। এরই সাথে তাঁর বহুবিধ অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করতেই মনে হয় অনেকটা যেন গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর মত। সেই মানিকবাবুর জন্মদিন উদযাপনে বেহালার বেশ কয়েকজন মানুষ সমবেত হয়েছিলেন বিডিএস ভবনে।প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি, বিশিষ্ট শিক্ষক, ও লেখক
মানিক বাবুর স্মরণে গানে ,কথায় ও আবৃত্তির মাধ্যমে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই সমাবেশ। দৃষ্টিহীন শিল্পী বিল্বমঙ্গল সর্দার, মীনারা খাতুন-দের সঙ্গে অঞ্জনা মজুমদার, সুদীপ কিরণ বিশ্বাস, দেবীপ্রসাদ চক্রবত্রী-দের গানের উপস্থাপনা যেন স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি রূপক গঙ্গোপাধ্যায় ,সাহিত্যিক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ,অধ্যাপক পার্থ চক্রবর্তী, দেবরাজ দত্ত,তপন কান্তি মন্ডল ও শঙ্কর ঘোষ-দের মানিক
স্মৃতিচারণে এক অনন্য সঙ্গত দেয়। অতি ঘনিষ্ঠ দিগ্বিজয় চোধুরী,প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক অভিজিৎ মজুমদার-এর সুপরিকল্পনায় ২৬ শে অক্টোবরের অপরাহ্ন যে সন্ধ্যাকে ছুঁলো, তা উপস্থিত মানিক গুণমুগ্ধ সকলেই বেশ উপভোগ করলেন।অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্তে মানিক স্যার হয়ে ওঠা বেহালার নিজের মানিকের জন্মদিনে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তাঁরই সুযোগ্যা কন্যা ব্রততী মুখোপাধ্যায়।