তাপস রায় ঃ “আয় খুকু আয়” গানটি নিয়ে আস্ত একটি সিনেমা হয়ে গেল। তবে একদিন অন্য সিনেমার এই সিনেমাও প্রেক্ষাগৃহে দেখানো বন্ধ হয়ে যাবে, পোস্টার হোর্ডিং সব সরে যাবে। কিন্তু সংগীত পিপাসু মানুষের মন থেকে মুছে যাবে না এই গানের কথা ও সুর। গায়ক হেমন্ত মুখার্জি ,শ্রাবন্তী মজুমদারের সেই আবেগ ঘন কণ্ঠে গাওয়া “আয় খুকু আয়” এর মতো একটি কালজয়ী গানের সুর সৃষ্টি করেছিলেন প্রয়াত সুরকার ভি বালসারা।। আর সম্প্রতি সেই সুর সংকল্পের হাটে যোগ্য উত্তরসূরীদের নিয়েই আয়োজিত হল এক মিলন সন্ধ্যা। যা ছেয়ে থাকল স্মরণের বিছানো চাদরে প্রাপ্তির আদর।
সেই সন্ধ্যায় রবীন্দ্রসদনের মঞ্চে উপস্থিত থাকলেন শ্রদ্ধেয় দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, মল্লার ঘোষ, স্বপন সেন, কল্যাণ সেন বরাট, প্রতাপ রায়(বেবি দা), সমীর খাসনবীশ, দীপঙ্কর আচার্য, তাপস রায়, দেবাশিস বসু, সুপর্ণ কান্তি ঘোষ, বাবুয়া লোধ প্রমুখ। যেখানে প্রবাদপ্রতিম সংগীত আচার্য্য ভি বালসারা-র শততম জন্মদিন স্মরণে একে একে শিল্পীদের হাতে তুলে দেওয়া হল সম্মান। তাই প্রতিবেদনের শুরুর শব্দগুলো প্রয়োগের ইচ্ছে হলো এই অনুষ্ঠানে শিল্পী ঊষা উত্থুপ, স্বপন সেন, দীপশ্রী সিনহা -দের পাশাপাশি প্রখ্যাত তবলা বাদক রাধাকান্ত নন্দীর পুত্র মানিক নন্দী সহ মল্লার ঘোষ, সৈকত মিত্রদের মঞ্চে সম্মানিত করার ছবিটি ফ্রেম বন্দি করতে গিয়ে। শুধু সম্মান নয়, ভালো লাগার ঐ সন্ধ্যায় সঞ্চালনার অবসরে দেবাশীষ বসু অন্যান্য সম্মান প্রাপকদের মত তুলে ধরলেন ২০২৩ সালের আগামী বই মেলায় বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী,গীতিকার,সুরকার,অভিনেত্রী, শিক্ষিকা দীপশ্রী সিনহা-র নিজের লেখা ২০০১ টি গান সংবলিত একটি বই ও গাথানি রেকর্ডস থেকে তার একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশের কথা। এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত থাকলেন ভি বালসারা-র সান্ন্নিধ্য লাভ করা বহু শিল্পী যেমন ধ্রুব হালদার, বাচ্চু , প্রতাপ রায় (বেবি) ,তাপস রায়, দীপঙ্কর আচার্য্য, কল্যাণ সেন বরাট, সুপর্ণ কান্তি ঘোষ,দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় ,সাধন বাগচী, ছন্দা সেন, মৌ, এমিলি বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ভি বালসারার আরো এক অনুরাগী মহেশ গুপ্তা।
ক্যালকাটা ইউনাইটেড কালচারাল সোসাইটি ও ভি বালসারা মেমোরিয়াল সোসাইটির উদ্যোগে নবীন ও প্রবীণ প্রতিভাদের এই সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সম্মান প্রাপক দীপশ্রী সিনহা জানান যে সংগীতের প্রতি প্রবল অনুরাগ থেকে তিনি গড়ে তুলেছেন ‘গানের ভুবনের’ মতো একটি সংগীত গবেষনা ও চর্চা কেন্দ্র। ভি বালসারার মতো কালজয়ী শিল্পীদের স্মরণ-মননের জন্য আয়োজিত এইসব সম্মেলনে নতুন পুরোনো সব শিল্পীদের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতির প্রসঙ্গ উঠতেই প্রবীণ সুরকার, সংগীত শিল্পী এবং এদিনের সম্মান প্রাপক আয়োজক সংগঠনের এক উদ্যোগী তাপস রায় বলেন এই মঞ্চ দেখে অনুভব করা যায়,যে এই কিংবদন্তীরা যুগের গন্ডি পেরিয়ে সদাই বেঁচে থাকেন সব শিল্পী মনেরই অন্দরে।