তাপস রায়,কলকাতা : অপরাহ্নের আলোটা টাটা ৮৮ ইস্টের কনফারেন্স রুমের ভেতর ঢুকতে না পারলেও একটা সুরেলা বিশ্বাসের আলো যে অনেক আগে থেকেই এই ঘরের প্রতিটা কোণ ছুঁয়ে খেলে বেড়াচ্ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। চারকোণা সেই ঘর যেন এক চাঁদের হাটের চেহারা নিয়েছিল। যেখান থেকেই স্বপ্ন সফর শুরু করলেন সংগীতের উপাসকেরা।
রাগাশ্রয়ী গান থেকে শুরু করে সর্বকালের সবার প্রিয় আধুনিক গান দিয়ে যারা হিন্দুস্থানী সংগীতের বিজয়ধ্বজা বহন করেছেন, সেই পরম্পরাকেই সংগীতের পথ দিয়ে সংগীতের মহামানুষদের প্রতি প্রণাম জানানোর জন্য করা হল এক অঙ্গীকার।
‘ইটারনাল সাউন্ডস’ নামের সেই অঙ্গীকারেই আবদ্ধ হলেন আর্থিক বাজারের গুরু উৎসব পারেখ, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মায়াঙ্ক জালান ও আন্তর্জাতিক সঙ্গীত গুরু বিক্রম ঘোষ। সাক্ষী থাকলেন ঊষা উত্থুপ, অরিন্দম শীল, ওস্তাদ রশিদ খান, ও জয়া শীল-দের মত বিশিষ্ট গুণীজনরা। অনুষ্ঠানের গোঁড়াতেই কখনো পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী, পন্ডিত বিশ্বমোহন ভট্ট থেকে মহালক্ষ্মী আইয়ার, শান-এর মত প্রথিতযশা শিল্পীদের নিয়ে তৈরি একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়। যেখানে ফুটে উঠেছে ‘ইটারনাল সাউন্ডস’ নামক এই সুরেলা উদ্যোগকে নিয়ে এইসব বিশিষ্ট শিল্পীদের আগাম আশার কথা। পাশপাশি এই সংস্থার চার প্রাণপুরুষের বক্তব্যে বারবার ফিরে ফিরে এল একটাই কথা। তাদের এই লগ্নি আর্থিক লাভের জন্য নয়। এই লগ্নি বিশ্বাসের বুনিয়াদের। তাদের বিশ্বাস এই অন্তহীন সুরের সফরের প্রতিটা মাইল ফলক এগিয়ে নিয়ে যাবে এক একটা সংগীত পরম্পরাকে। আর এই যাত্রাপথে সংগীতানুরাগীদের প্রথম পাড়ি দিতে তাদের শরিক হচ্ছেন চির উজ্জ্বল প্রতিভা শিল্পী হরিহরণ। সব মিলিয়ে এই আশা রাখাই যায় যে সুরের আকাশে আবারও জ্বলজ্বল করে উঠবে সংগীতের উজ্জ্বল তারারা।