‘মা আছেন আর আমরা আছি’ কথাটার মধ্যে এক অদ্ভুত শক্তি কাজ করে। কিন্তু এই শক্তির সঞ্চয়েরআশায় আমরা যখন ৫১পীঠের এক পীঠ কালীঘাট মন্দিরে হাজির হলাম ,দেখলাম কেবল মাত্র মায়ের মূল মন্দির টি ছাড়া সংলগ্ন বেশ কিছু ডালার দোকান ,ফুলের দোকান ভেঙে নতুন জায়গায় নতুন করে গড়ে উঠেছে।ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা কংক্রিটের প্রাচীর।আবার চারদিকে যখন চোখ ঘুরে যখন চোখ স্থির হলো মূল মন্দিরে মায়ের বিগ্রহের দিকে তখন মনে হলো সেই বিখ্যাত গানের কথা ‘মা আছেন আর আমি আছি’।
এতো গেল আবেগের কথা।মূল যেকথাটি সেটা হলো ১৮০৯ সালে বরিষার সাবর্ণ জমিদারদের উদ্যোগে আদি গঙ্গার তীরে এই মন্দির নির্মিত হলেও পরবর্তী কালে ৯০ ফুট উঁচু এই মন্দিরের কিছু সংস্কারের কাজ করান সন্তোষ কুমার রায়চোধুরী। আর বৰ্তমানে কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে একটি স্কাইওয়াক।যা,দক্ষিনেস্বরের আদলে তৈরি হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উদ্যোগে।
কোলকাতা পুরসভার এই প্রকল্পে মন্দির সংস্কার ,চত্বর সৌন্দর্যায়ন সহ স্কাইওয়াকের কাজের জন্য চারদিকে বড় বড় ক্রেন ও অন্যান্য মেশিন ও ছড়িয়ে থাকা পাথর,বালি, ইটের পাজা পাশ কাটিয়ে কালীঘাট হকার্স কর্নারের মুখ থেকে সদানন্দ রোড পার হয়ে ভগবতী লেনে বিখ্যাত কালীঘাটের ‘মেজদার ডালার দোকানে সামনে দাঁড়িয়ে উপস্থিত দোকানের আধিকারিক অশোক দত্ত কে তীর্থযাত্রী বা দর্শনাথী দের উপস্হিতি হার নিয়ে প্রশ্ন করতেই,তিনি জানালেন যে গত আড়াই বছরের মধ্যে কয়েকটি মাস ছাড়া কালীঘাটে মায়ের মন্দিরে দর্শনাথীদের মধ্যে উৎসাহে কোন ঘাটতি পড়েনি।
অশোকবাবু এও জানান যে,এত নির্মাণ,পরিবর্তনের সময়েও অমাবস্যা,শনি, মঙ্গলবার ও অন্যান্য তিথি পুজোতেও উপচে পড়া ভিড় জমছে এই কালীঘাটে।তাহলে এ কথা তো লেখা যেতেই পারে সৌন্দর্যায়নের কাজ শেষ হলেই কলকাত্তাবালী পেতে পারে নতুন রূপের কালীক্ষেত্র কে ,শুধু একটু সময়ের অপেক্ষা।