Sat. Apr 1st, 2023

নীলাভ রায়, কলকাতা: রবি ঠাকুর তাঁর ‘স্বপ্ন’-এ দেখেছিলেন “কলিকাতা চলিয়াছে নড়িতে নড়িতে।”। আর বিশ্বকবির এই স্বপ্নই ১৯৮৪-র এক হেমন্তদিনে সত্যি হল সেই শহর কলকাতাতেই। ভারতবর্ষের বুকে প্রথম মাটির নীচের পাতালপথে ছুটল এক অবাক-যান। নাম তার ‘মেট্রো’। ‘৮৪-র সেই প্রতিষ্ঠাদিবস ২৪শে অক্টোবর থেকে ২০২২-র ডেট কার্ডের সেই একই দিনাঙ্ক। মাঝে কলকাতার চলাচলকে সুগম করতে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ কিংবা একেবারে ঠিক উল্টো রুটের সুড়ঙ্গপথ দিয়ে রুদ্ধশ্বাসে ছুটে গেছে কত অগুন্তি মেট্রো রেল। কিন্তু শহরের গতিময়তার এই চলমান প্রতীক আজও নাগরিক জীবনের কাছে বিশেষ উৎসাহের ও ভরসার।

প্রৌঢ়ত্বের পথিক সেই কলকাতা মেট্রোর জন্মদিন ২৪শে অক্টোবর পালন করা হল কালীঘাট মেট্রো স্টেশন প্রাঙ্গণে। জেনারেল ম্যানেজার (অতিরিক্ত) ও প্রিন্সিপাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার এইচ. এন. জয়সওয়াল, মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী, জনসংযোগ আধিকারিক রূপায়ণ মিত্র সহ
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের অন্যান্য পদস্থ কর্তাদের উপস্থিতিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের দিয়ে কেক কাটার মাধ্যমে জন্মদিন উদযাপিত হল ৩৮ বছর এ পা রাখা কলকাতা মেট্রোর।

অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সময় তাদের নিজেদের মেট্রো সফরের নস্টালজিয়ায় দর্শকদের বারবার ভাসালেন উপস্থিত অতিথি চিত্র পরিচালক সন্দীপ রায় ও অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার। এছাড়াও কলকাতা মেট্রোর এই উদযাপন অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন শিল্পী রূপঙ্কর বাগচী ও কলকাতায়
জার্মানির কনস্যুলেট জেনারেল ম্যানফ্রেড অস্তার। নৃত্যশিল্পী ঊর্মিলা ভৌমিক-এর পরিচালনায় উপস্থাপিত হয় একটি বিশেষ নৃত্য কথা।

অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে চিফ প্রিন্সিপাল অপারেশন ম্যানেজার সাত্যকি নাথ অতিথিদের হাতে রেলের প্রতীকী স্মারক তুলে দেওয়ার পাশাপাশি বারবার উল্লেখ করেন যে কলকাতা মেট্রোর এই দীর্ঘ পথচলা যেহেতু মানুষের সাথে তাদের দৈনন্দিন সংযোগের কারণেই সম্ভব হয়েছে, তাই মেট্রো ভবন নয়, খোদ কালীঘাট মেট্রো স্টেশনকেই তারা বেছে নিয়েছেন এই উদযাপন স্থল হিসেবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!