গণমিত্র ডেস্কঃ সাধারণ মানুষের জন্য খানিকটা স্বস্তির খবর দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।গত মে মাসে যেখানে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭.০৪%, তা সামান্য কমে হয়ে দাঁড়ালো ৭.০১%। কেন্দ্রীয় এই পরিসংখ্যানকে ঢাল করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দাবি যে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মত ভারত সরকারের নানান প্রকল্পের সুফলে চড়া মুদ্রাস্ফীতি একেবারেই দেশের গরীব মানুষের কাছে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি।
তার এই দাবিকে জোরালো করতে নির্মলা ব্যবহার করেন ইউএনডিপির সাম্প্রতিক রিপোর্ট, যেখানে বলা হয়েছে যে ভারতীয় অর্থনীতিতে সেই শ্রেণীর গরীবের ওপর মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব নেই বললেই চলে যাদের দৈনিক আয় ১.৯ ডলার। দৈনিক ৩.৩ ডলার ও ৫.৫ ডলার আয় যেসব মানুষদের, তাদের দারিদ্র্য সীমার নীচে নামতে হলেও, তা একেবারেই সামান্য।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে দামের এই পতন খুব এক স্বস্তির হাওয়া বয়ে আনতে সক্ষম হবেনা। কারণ খুচরো মুদ্রাস্ফীতির এই সামান্য পতন এখনো রিজার্ভ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া ৬ শতাংশের সর্বোচ্চ সীমার অনেক ওপরে।
এপ্রিল মাসে ৮-বছরের সর্বোচ্চ ৭.৭৯ শতাংশে পৌঁছনো খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হারে এই পতন নিঃসন্দেহে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে হ্রাসের ফল। তবে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন যে বর্ষায় ভালো ফলনের দরুন আগামী দিনেও এই ধারা অব্যাহত থাকলেও ডলারের নিরিখে টাকার দাম ক্রমশঃ নিম্নমুখী হওয়ায় অৰ্থনীতির অবস্থা খুব একটা সুখকর হবেনা। বাড়তে থাকা ডলারের দামের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়বে কাঁচা মাল আমদানির খরচ। যার জন্য বাড়বে দেশীয় পণ্য উৎপাদনের খরচ। এবং এর ফলস্বরূপ খুচরো বাজারে এই সব পণ্যের দাম হবে আকাশছোঁয়া। এবং এতে আরও ইন্ধন যোগাবে জ্বালানির ক্রমবর্ধমান দামের জন্য চড়তে থাকা পরিবহনের খরচ। তবে এই চড়তে থাকা জিনিসের দামে রাশ টানতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আবারও রেপো রেট বাড়ানোর পথেই হাটবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট মহল।